হযরত খাদিজা (রাঃ) এর জীবনী-২য় পর্ব
হযরত খাদিজা (রাঃ) এর পরিচয়ঃ-
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিতা মাতার পূর্ব পুরুষগন কয়েক পুরুষ পর্যন্ত উর্ধ্বে গিয়েই হযরত খাদিজা (রাঃ) এর পিতা-মাতার উভয়ের বংশের সাথে মিলিত হয়েছে। সুতরাং হযরত খাদিজা (রাঃ) যে বংশ মর্যাদায় সর্ব দিক দিয়েই শ্রেষ্ঠ ছিলেন সে কথা বলাই বাহুল্য। কুরাইশ বংশ ছাড়াও আরব দেশে তৎকালে আরো অনেক বংশ ছিল। কিন্তু শিক্ষা-দীক্ষায় ধন-সম্পদে ও মান-সম্মানের কুরাইশ বংশ দের সামনে অন্য কোন বংশেরই মাথা তুলে দাঁড়াবার ক্ষমতা ছিল না।
হেজাজ ছিল সারা আরবের সভ্যতা ও সংস্কৃতির কেন্দ্রস্থল। পবিত্র খানায়ে কাবা হেজাজে অবস্থিত ছিল বলে শুধু আরবেই নয়, বরং আরো অন্যান্য দেশের লোকের নিকটে হেজাজ পূত পবিত্র পূণ্যভূমি বলে বিবেচিত ছিল। কুরাইশ বংশের লোকগণই বংশ পরম্পরায় চিরদিন খানায়ে কাবার তত্ত্বাবিধানসভা করে আসছিল। ফলে আরবের সবাই কুরাইশদিগকে বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করত।
কুরাইশদের মধ্যে আবার অনেকগুলো গোত্রের লোকের মর্যাদা সম্মান ছিল না। কুরাইশদের মধ্যে হাশেমী বংশ ছিল মান মর্যাদা ও প্রভাল প্রতিপত্তিতে সকালের নেতৃস্থানীয়। এ হাশেমি বংশেই আমাদের নুর নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্মের ১৫ বছর পূর্বে এবং ইসলাম প্রচারিত হওয়ার ৫৫ বছর পূর্বে হযরত খাদিজা (রাঃ) জন্মগ্রহণ করেন। তৎকালে আরবে নারীদের শিক্ষার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া হতো না,তথাপি হযরত খাদিজার পিতা-মাতা অত্যন্ত যত্নের সাথে তাদের একমাত্র কন্যা খাদিজাকে শিক্ষাদীক্ষা দিয়ে এমন আদর্শ নারীরূপে গড়ে তুলেছিলেন যে, তখনকার অন্ধকার যুগে কেন, বর্তমান সভ্যতার যুগেও সেরূপে আদর্শ শিক্ষা কোন নারী পায় বলে মনে হয় না।
হযরত খাদিজার পিতা খুওয়াইলিদ যে কেবল বংশ মর্যাদায় শ্রেষ্ঠ ছিলেন তাই নয়, বরং তিনি তদীয় বংশের সর্বাপেক্ষা ধনী সুশিক্ষিত ও বিশেষ সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। তিনি সিরিয়া ও ইয়ামেনে ব্যবসা-বাণিজ্য করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছিলেন।
খুওয়াইলিদ ছিলেন তৎকালীন আরবের সর্বশ্রেষ্ঠ ধনী ব্যক্তিদের অন্যতম।
হযরত খাদিজা (রাঃ) ছিলেন অতুলনীয় সুন্দরী ও গুনবতী: অবশ্য রূপের প্রশংসা সকল দেশে সকল জাতির নিকটে এক রকম নয়। রূপের প্রশংসা বিভিন্ন জাতির নিকটে বিভিন্ন প্রকার। কেবল শরীরের রং ফর্সা বা লাল হলেই তাকে সুন্দরী বা রূপবতী বলা চলে না। আফ্রিকার অধিবাসী সবাই ঘোর কৃষ্ণবর্ণ। কিন্তু তাই বলে যে তাদের মধ্যে রূপবতী বা গুণবতী নারী নেই এরূপ ধারণা করা ভুল।
তাদের ভিতরেও রূপের প্রতিযোগিতা চলে। নারীর সৌন্দর্যের মূলকথা তার দেহের গঠন ও কমনীয়তা। হযরত খাদিজা (রাঃ)কে সে দিক দিয়ে একেবারে নিখুঁত সুন্দরী বলা চলে। আরব দেশের মানুষ এমনিতেই শ্বেতাঙ্গ, কাজেই তাদের নিকট মেয়েদের সৌন্দর্যের প্রশংসা হল দেহের লাবণ্য, কমনীয়তা ও গঠন প্রকৃতির নৈপুণ্য। এদিক দিয়ে হযরত খাদিজা (রাঃ) ছিলেন অতুলনীয়া।
তিনি যেমন ছিলেন অসাধারণ সুন্দরী, তেমনি ছিলেন বিশেষ গুণ সম্পন্ন। শৈশবকাল থেকেই তাঁর স্বভাব চরিত্র ছিল অত্যন্ত নিখুঁত ও সরল সুন্দর। তার অনুপম সৌন্দর্য ও ব্যবহারের মাধুর্যতায় সকলেই তাকে অত্যন্ত স্নেহ করতো। যৌবন কালে তিনি ছিলেন বিশেষ গুণবতী, সত্যপিপাসু ও নির্মল চরিত্রের অধিকারিনী ছিলেন। তার স্বচ্ছ চরিত্রের জন্য সকলে তাকে 'তাহেরা' ( পবিত্র) উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিতা মাতার পূর্ব পুরুষগন কয়েক পুরুষ পর্যন্ত উর্ধ্বে গিয়েই হযরত খাদিজা (রাঃ) এর পিতা-মাতার উভয়ের বংশের সাথে মিলিত হয়েছে। সুতরাং হযরত খাদিজা (রাঃ) যে বংশ মর্যাদায় সর্ব দিক দিয়েই শ্রেষ্ঠ ছিলেন সে কথা বলাই বাহুল্য। কুরাইশ বংশ ছাড়াও আরব দেশে তৎকালে আরো অনেক বংশ ছিল। কিন্তু শিক্ষা-দীক্ষায় ধন-সম্পদে ও মান-সম্মানের কুরাইশ বংশ দের সামনে অন্য কোন বংশেরই মাথা তুলে দাঁড়াবার ক্ষমতা ছিল না।
হেজাজ ছিল সারা আরবের সভ্যতা ও সংস্কৃতির কেন্দ্রস্থল। পবিত্র খানায়ে কাবা হেজাজে অবস্থিত ছিল বলে শুধু আরবেই নয়, বরং আরো অন্যান্য দেশের লোকের নিকটে হেজাজ পূত পবিত্র পূণ্যভূমি বলে বিবেচিত ছিল। কুরাইশ বংশের লোকগণই বংশ পরম্পরায় চিরদিন খানায়ে কাবার তত্ত্বাবিধানসভা করে আসছিল। ফলে আরবের সবাই কুরাইশদিগকে বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করত।
কুরাইশদের মধ্যে আবার অনেকগুলো গোত্রের লোকের মর্যাদা সম্মান ছিল না। কুরাইশদের মধ্যে হাশেমী বংশ ছিল মান মর্যাদা ও প্রভাল প্রতিপত্তিতে সকালের নেতৃস্থানীয়। এ হাশেমি বংশেই আমাদের নুর নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্মের ১৫ বছর পূর্বে এবং ইসলাম প্রচারিত হওয়ার ৫৫ বছর পূর্বে হযরত খাদিজা (রাঃ) জন্মগ্রহণ করেন। তৎকালে আরবে নারীদের শিক্ষার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া হতো না,তথাপি হযরত খাদিজার পিতা-মাতা অত্যন্ত যত্নের সাথে তাদের একমাত্র কন্যা খাদিজাকে শিক্ষাদীক্ষা দিয়ে এমন আদর্শ নারীরূপে গড়ে তুলেছিলেন যে, তখনকার অন্ধকার যুগে কেন, বর্তমান সভ্যতার যুগেও সেরূপে আদর্শ শিক্ষা কোন নারী পায় বলে মনে হয় না।
হযরত খাদিজার পিতা খুওয়াইলিদ যে কেবল বংশ মর্যাদায় শ্রেষ্ঠ ছিলেন তাই নয়, বরং তিনি তদীয় বংশের সর্বাপেক্ষা ধনী সুশিক্ষিত ও বিশেষ সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। তিনি সিরিয়া ও ইয়ামেনে ব্যবসা-বাণিজ্য করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছিলেন।
খুওয়াইলিদ ছিলেন তৎকালীন আরবের সর্বশ্রেষ্ঠ ধনী ব্যক্তিদের অন্যতম।
হযরত খাদিজা (রাঃ) ছিলেন অতুলনীয় সুন্দরী ও গুনবতী: অবশ্য রূপের প্রশংসা সকল দেশে সকল জাতির নিকটে এক রকম নয়। রূপের প্রশংসা বিভিন্ন জাতির নিকটে বিভিন্ন প্রকার। কেবল শরীরের রং ফর্সা বা লাল হলেই তাকে সুন্দরী বা রূপবতী বলা চলে না। আফ্রিকার অধিবাসী সবাই ঘোর কৃষ্ণবর্ণ। কিন্তু তাই বলে যে তাদের মধ্যে রূপবতী বা গুণবতী নারী নেই এরূপ ধারণা করা ভুল।
তাদের ভিতরেও রূপের প্রতিযোগিতা চলে। নারীর সৌন্দর্যের মূলকথা তার দেহের গঠন ও কমনীয়তা। হযরত খাদিজা (রাঃ)কে সে দিক দিয়ে একেবারে নিখুঁত সুন্দরী বলা চলে। আরব দেশের মানুষ এমনিতেই শ্বেতাঙ্গ, কাজেই তাদের নিকট মেয়েদের সৌন্দর্যের প্রশংসা হল দেহের লাবণ্য, কমনীয়তা ও গঠন প্রকৃতির নৈপুণ্য। এদিক দিয়ে হযরত খাদিজা (রাঃ) ছিলেন অতুলনীয়া।
তিনি যেমন ছিলেন অসাধারণ সুন্দরী, তেমনি ছিলেন বিশেষ গুণ সম্পন্ন। শৈশবকাল থেকেই তাঁর স্বভাব চরিত্র ছিল অত্যন্ত নিখুঁত ও সরল সুন্দর। তার অনুপম সৌন্দর্য ও ব্যবহারের মাধুর্যতায় সকলেই তাকে অত্যন্ত স্নেহ করতো। যৌবন কালে তিনি ছিলেন বিশেষ গুণবতী, সত্যপিপাসু ও নির্মল চরিত্রের অধিকারিনী ছিলেন। তার স্বচ্ছ চরিত্রের জন্য সকলে তাকে 'তাহেরা' ( পবিত্র) উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন।
Comments