হযরত খাদিজা (রাঃ) এর জীবনী-৫ম পর্ব
হযরত খাদিজা (রাঃ) এর বানিজ্যঃ-
উম্মুল মু'মিনীন হযরত খাদিজা (রাঃ) ধনী গৃহের একমাত্র আদরের দুলালী হলেও তাকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের ভিতর দিয়েই যৌবনের প্রথম অংশ অতিক্রম করতে হয়েছিল। কাজেই তিনি শোক-দুঃখ ও বিপদাপদ সহ্য করার মতো যথেষ্ট মানসিক বলও অর্জন করেছিলেন। তাই বিধবা ও পিতৃহারা হয়ে প্রথম দিকে একটু বিচলিত হয়ে পড়লেও একেবারে হতবুদ্ধি হয়ে পড়েননি তিনি। হযরত খাতিজা (রাঃ) এর পৈতৃক ধন সম্পদ ছিল প্রচুর। তদুপরি তার দ্বিতীয় স্বামীর মৃত্যুর পর তার বিরাট সম্পত্তি ও ধন দৌলতও তিনি লাভ করেন। যেহেতু তার স্বামী আতিকের অন্য কোন উত্তরাধিকারী ছিল না।
সৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন এবং তার সব সদ্ব্যবহার সম্বন্ধে হযরত খাদিজা (রাঃ) এর যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ছিল। তবে তার পিতার ব্যবসায়-বাণিজ্যের স্থান অধিকাংশই আরবের বাইরে বিভিন্ন দেশে ছিল বলে প্রথম দিকে তিনি সেসব স্থানের ব্যবসায় পরিচালনার ব্যাপারে বেশ একটু চিন্তিত হয়ে পড়েন। কিন্তু অতি অল্পদিনের মধ্যেই তিনি সেসব ব্যবসার সুষ্ঠু সমাধান করতে সমর্থ হন।
কতিপয় বিশ্বাসী ও সুদক্ষ কর্মচারী নিযুক্ত করে তিনি বিভিন্ন স্থানের ব্যবসা পরিচালনার ব্যবস্থা করে ফেললেন। বিচক্ষণ ব্যবসায়ী পিতার সঙ্গে থেকে তিনি বাল্যকাল হতেই ব্যবসায়-বাণিজ্য বিরাট দক্ষতা অর্জন করেছিলেন, তারই ফলে তিনি অকালে বিধবা ও পিতৃহারা হয়েও ভেঙ্গে পড়েননি, ব্যবসায়েরও কোন ক্ষতি হয়নি। বরং পিতার আমলের চেয়ে তার আমলে ব্যবসায়ে উত্তরোত্তর উন্নতিই হচ্ছিল।
বুদ্ধিমতী উম্মুল মু'মিনীন হযরত খাদিজা (রাঃ) তার পিতার আমলের বাণিজ্য পূর্ণ দায়িত্বভার নিয়ে তা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও উন্নতির বিধানের মধ্যে তার সমস্ত সত্ত্বাকে নিয়োজিত করেন।বৈষয়িক বুদ্ধিতে যে তিনি অতুলনীয়া ছিলেন ধীরে ধীরে সে কথাটাই সুস্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠল সমস্ত আরববাসীদের চোখের সামনে।পিতার অনুকরণেই তিনি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন পণ্যদ্রব্য রপ্তানি ও বিদেশ হতে আমদানি করতে লাগলেন।
অতি অল্পদিনের মধ্যেই দেশ ও বিদেশের সর্বত্র তার সুনাম ছড়িয়ে পরলো। ব্যবসায় বাণিজ্য ক্ষেত্রে তিনি এত অধিক সুনাম অর্জন করেছিলেন যে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সঙ্গে বিবাহের পূর্ব পর্যন্ত বহু প্রভাবশালী শিক্ষিত ও সম্ভ্রান্ত কুয়াইশ যুবক তার ব্যবসায়ে অংশগ্রহণ করেছিল এবং সকলেই শতমুখে তার প্রশংসা করেছিল।
আল্লাহ তা'আলা তাকে যেমন অগাধ জ্ঞান ও বুদ্ধি দিয়ে ছিলেন তেমনি দরদও দিয়েছিলেন অফুরন্ত। দুঃখি দারিদ্র নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের প্রতি সহানুভূতি ও সমবেদনাশীল হওয়াটা ছিল তার একান্তই পরিবেশগত শিক্ষার ফল। তিনি এমন করে মানুষ হয়েছিলেন যেখানে দুঃস্থ ও নির্যাতিতের সেবা করা মানুষের একটা সর্বপ্রধান মহান কর্তব্য বলে বিবেচিত হতো ।
হযরত খাদিজার পিতা খুওয়াইলিদ বিপুল ধন সম্পদের অধিকারীর হওয়া সত্বেও কৃপণতা ও অহংকারিতা তার হৃদয়ে কোনদিন বিন্দুমাত্রও স্থান পায়নি। তিনি দুঃস্থ ও নির্যাতিত মানবের সেবাকে জীবনের শ্রেষ্ঠ ব্রত বলেই গ্রহণ করেছিলেন। হযরত খাদিজা (রাঃ) উত্তরাধিকার সূত্রেই এসব মহান গুণের অধিকারিনী হয়েছিলেন।
বাল্যকাল হতেই তিনি পিতার ন্যায় নিঃস্ব ও দরিদ্রদেরকে দান-খয়রাত করতে প্রচুর আনন্দ পেতেন।
পিতা খুওয়াইলিদ দুঃখী দরিদ্রলোকদের কে অকাতরে দান করতেন এবং তার অধিকাংশই তার একমাত্র আদরের দুলালী খাদিজার হাত দিয়েই বিতরণ করাতেন। অনেক সময়ে দান খয়রাত করা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও মেয়ের অনেক অর্থ দান করতে তিনি বাধ্য হতেন। তাই পরবর্তী জীবনে এসব গুন তার মজ্জাগত হয়ে গিয়েছিল। বিবাহের পরেও তার এসব গুণের বিন্দুমাত্র ব্যতিক্রম হয়নি।
পিতা ও স্বামীর মৃত্যুর পরে তিনি বিরাট ঐশ্বর্যের অধিকারী হয়ে দুঃস্থ মানবের সেবায় আরও অধিক পরিমাণে আত্ননিয়োগ করলেন। হযরত রাসূল (সাঃ) এর সঙ্গে বিবাহ হওয়ার পরেই তার এ দান ও সেবার মনোভাব চূড়ান্ত রূপ পরিগ্রহ করে। তিনি তার যাবতীয় ধন-সম্পদ ইসলামের সেবার উদ্দেশ্যে স্বামীর চরণে ঢেলে দিয়েছিলেন। (নবীজীকে স্বামী রূপে গ্রহণ করার পর)।
উম্মুল মু'মিনীন হযরত খাদিজা (রাঃ) তার পিতার বিরাট ব্যবসায়ের ভার গ্রহণ করে ব্যবসায় ক্ষেত্রে একটা নতুন ব্যবস্থা প্রবর্তন করলেন। তাতে প্রতিবেশী দরিদ্র জনসাধারণ বাঁচার মতো একটা উপকৃষ্ট পথ খুঁজে পেল। এটা হলো তার নিকট থেকে মূলধন নিয়ে ব্যবসা করা। যাদের ব্যবসা সম্বন্ধে বেশ অভিজ্ঞতা আছে, যথেষ্ট ইচ্ছাও আছে,অথচ অর্থের অভাবে ব্যবসা করতে পারছে না তারা একটি সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গেল হযরত খাদিজার এ নতুন ব্যবস্থার ফলে। বিশ্বাসী ও বুদ্ধিমান লোক দেখে তিনি ব্যবসায়ের জন্য মূলধন বিনিয়োগ করতে থাকলেন।
শর্ত হলো ব্যবসায়ে যা লাভ হবে তার অর্ধেক তার অর্ধেক সে পাবে। প্রথমে অল্প অল্প করে তিনি সবাইকে অর্থ প্রদান করলেন। পরে যোগ্যতা ও সততা বুঝে সে অর্থের পরিমাণ ক্রমেই বাড়িয়ে দিতে থাকলেন। এরূপে আরবের অসংখ্য শিক্ষিত বেকার যুবক ব্যবসাক্ষেত্রে নেমে পড়লেন হরযত খাদিজার নিকট থেকে মূলধন নিয়ে। যারা এক মুষ্টি অন্নের জন্য চতুর্দিক অন্ধকার দেখছিল তাদের স্বচ্ছলতা নেমে এল অতি অল্পদিনের মধ্যেই। তাছাড়া তার নিজস্ব ব্যবসায় পরিচালনার জন্যও অসংখ্য শিক্ষিত ও বিশ্বাসী কর্মচারী নিযুক্ত হলো দেশ-বিদেশের সর্বত্র।
বেতনভোগী কর্মচারীদেরকেও তিনি শুধু নির্দিষ্ট বেতনই দিতেন না, প্রত্যেকের সততা ও কার্যদক্ষতা অনুযায়ী মাঝে মাঝে উপযুক্ত পুরস্কার দিতেন। কোন একটা জাতীয় অনুষ্ঠানের পূর্বে সকল কর্মচারীকেই কমবেশি এ পুরস্কার প্রদান করতেন তিনি। বছরে দু'তিনবার এ পুরস্কার দেয়া হত। এর ফলে কর্মচারীদের মধ্যে কর্মোদ্যম ও সততা বৃদ্ধি পেতো। তার এসব ব্যবস্থার ফলে কোন কর্মচারী তাকে একটি পয়সাও ফাঁকি দেওয়ার কথা চিন্তা করত না।
তিনি অসংখ্য দাস-দাসীকেও স্বীয় পুত্র-কন্যাবৎ প্রতিপালন করে তাদের দ্বারাও নিজের ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তিনি দাস দাসী ও কর্মচারীদের সকল প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি নিজগুনে ক্ষমা করে তাদের সাথে এমন ব্যবহার করতেন যে, তারা প্রত্যেকেই তাকে মাতৃবৎ মনে করে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে তার প্রতিটি আদেশ অক্ষরে অক্ষরে প্রতিপালন করত।
উম্মুল মু'মিনীন হযরত খাদিজা (রাঃ) ধনী গৃহের একমাত্র আদরের দুলালী হলেও তাকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের ভিতর দিয়েই যৌবনের প্রথম অংশ অতিক্রম করতে হয়েছিল। কাজেই তিনি শোক-দুঃখ ও বিপদাপদ সহ্য করার মতো যথেষ্ট মানসিক বলও অর্জন করেছিলেন। তাই বিধবা ও পিতৃহারা হয়ে প্রথম দিকে একটু বিচলিত হয়ে পড়লেও একেবারে হতবুদ্ধি হয়ে পড়েননি তিনি। হযরত খাতিজা (রাঃ) এর পৈতৃক ধন সম্পদ ছিল প্রচুর। তদুপরি তার দ্বিতীয় স্বামীর মৃত্যুর পর তার বিরাট সম্পত্তি ও ধন দৌলতও তিনি লাভ করেন। যেহেতু তার স্বামী আতিকের অন্য কোন উত্তরাধিকারী ছিল না।
সৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন এবং তার সব সদ্ব্যবহার সম্বন্ধে হযরত খাদিজা (রাঃ) এর যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ছিল। তবে তার পিতার ব্যবসায়-বাণিজ্যের স্থান অধিকাংশই আরবের বাইরে বিভিন্ন দেশে ছিল বলে প্রথম দিকে তিনি সেসব স্থানের ব্যবসায় পরিচালনার ব্যাপারে বেশ একটু চিন্তিত হয়ে পড়েন। কিন্তু অতি অল্পদিনের মধ্যেই তিনি সেসব ব্যবসার সুষ্ঠু সমাধান করতে সমর্থ হন।
কতিপয় বিশ্বাসী ও সুদক্ষ কর্মচারী নিযুক্ত করে তিনি বিভিন্ন স্থানের ব্যবসা পরিচালনার ব্যবস্থা করে ফেললেন। বিচক্ষণ ব্যবসায়ী পিতার সঙ্গে থেকে তিনি বাল্যকাল হতেই ব্যবসায়-বাণিজ্য বিরাট দক্ষতা অর্জন করেছিলেন, তারই ফলে তিনি অকালে বিধবা ও পিতৃহারা হয়েও ভেঙ্গে পড়েননি, ব্যবসায়েরও কোন ক্ষতি হয়নি। বরং পিতার আমলের চেয়ে তার আমলে ব্যবসায়ে উত্তরোত্তর উন্নতিই হচ্ছিল।
বুদ্ধিমতী উম্মুল মু'মিনীন হযরত খাদিজা (রাঃ) তার পিতার আমলের বাণিজ্য পূর্ণ দায়িত্বভার নিয়ে তা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও উন্নতির বিধানের মধ্যে তার সমস্ত সত্ত্বাকে নিয়োজিত করেন।বৈষয়িক বুদ্ধিতে যে তিনি অতুলনীয়া ছিলেন ধীরে ধীরে সে কথাটাই সুস্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠল সমস্ত আরববাসীদের চোখের সামনে।পিতার অনুকরণেই তিনি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন পণ্যদ্রব্য রপ্তানি ও বিদেশ হতে আমদানি করতে লাগলেন।
অতি অল্পদিনের মধ্যেই দেশ ও বিদেশের সর্বত্র তার সুনাম ছড়িয়ে পরলো। ব্যবসায় বাণিজ্য ক্ষেত্রে তিনি এত অধিক সুনাম অর্জন করেছিলেন যে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সঙ্গে বিবাহের পূর্ব পর্যন্ত বহু প্রভাবশালী শিক্ষিত ও সম্ভ্রান্ত কুয়াইশ যুবক তার ব্যবসায়ে অংশগ্রহণ করেছিল এবং সকলেই শতমুখে তার প্রশংসা করেছিল।
আল্লাহ তা'আলা তাকে যেমন অগাধ জ্ঞান ও বুদ্ধি দিয়ে ছিলেন তেমনি দরদও দিয়েছিলেন অফুরন্ত। দুঃখি দারিদ্র নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের প্রতি সহানুভূতি ও সমবেদনাশীল হওয়াটা ছিল তার একান্তই পরিবেশগত শিক্ষার ফল। তিনি এমন করে মানুষ হয়েছিলেন যেখানে দুঃস্থ ও নির্যাতিতের সেবা করা মানুষের একটা সর্বপ্রধান মহান কর্তব্য বলে বিবেচিত হতো ।
হযরত খাদিজার পিতা খুওয়াইলিদ বিপুল ধন সম্পদের অধিকারীর হওয়া সত্বেও কৃপণতা ও অহংকারিতা তার হৃদয়ে কোনদিন বিন্দুমাত্রও স্থান পায়নি। তিনি দুঃস্থ ও নির্যাতিত মানবের সেবাকে জীবনের শ্রেষ্ঠ ব্রত বলেই গ্রহণ করেছিলেন। হযরত খাদিজা (রাঃ) উত্তরাধিকার সূত্রেই এসব মহান গুণের অধিকারিনী হয়েছিলেন।
বাল্যকাল হতেই তিনি পিতার ন্যায় নিঃস্ব ও দরিদ্রদেরকে দান-খয়রাত করতে প্রচুর আনন্দ পেতেন।
পিতা খুওয়াইলিদ দুঃখী দরিদ্রলোকদের কে অকাতরে দান করতেন এবং তার অধিকাংশই তার একমাত্র আদরের দুলালী খাদিজার হাত দিয়েই বিতরণ করাতেন। অনেক সময়ে দান খয়রাত করা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও মেয়ের অনেক অর্থ দান করতে তিনি বাধ্য হতেন। তাই পরবর্তী জীবনে এসব গুন তার মজ্জাগত হয়ে গিয়েছিল। বিবাহের পরেও তার এসব গুণের বিন্দুমাত্র ব্যতিক্রম হয়নি।
পিতা ও স্বামীর মৃত্যুর পরে তিনি বিরাট ঐশ্বর্যের অধিকারী হয়ে দুঃস্থ মানবের সেবায় আরও অধিক পরিমাণে আত্ননিয়োগ করলেন। হযরত রাসূল (সাঃ) এর সঙ্গে বিবাহ হওয়ার পরেই তার এ দান ও সেবার মনোভাব চূড়ান্ত রূপ পরিগ্রহ করে। তিনি তার যাবতীয় ধন-সম্পদ ইসলামের সেবার উদ্দেশ্যে স্বামীর চরণে ঢেলে দিয়েছিলেন। (নবীজীকে স্বামী রূপে গ্রহণ করার পর)।
উম্মুল মু'মিনীন হযরত খাদিজা (রাঃ) তার পিতার বিরাট ব্যবসায়ের ভার গ্রহণ করে ব্যবসায় ক্ষেত্রে একটা নতুন ব্যবস্থা প্রবর্তন করলেন। তাতে প্রতিবেশী দরিদ্র জনসাধারণ বাঁচার মতো একটা উপকৃষ্ট পথ খুঁজে পেল। এটা হলো তার নিকট থেকে মূলধন নিয়ে ব্যবসা করা। যাদের ব্যবসা সম্বন্ধে বেশ অভিজ্ঞতা আছে, যথেষ্ট ইচ্ছাও আছে,অথচ অর্থের অভাবে ব্যবসা করতে পারছে না তারা একটি সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গেল হযরত খাদিজার এ নতুন ব্যবস্থার ফলে। বিশ্বাসী ও বুদ্ধিমান লোক দেখে তিনি ব্যবসায়ের জন্য মূলধন বিনিয়োগ করতে থাকলেন।
শর্ত হলো ব্যবসায়ে যা লাভ হবে তার অর্ধেক তার অর্ধেক সে পাবে। প্রথমে অল্প অল্প করে তিনি সবাইকে অর্থ প্রদান করলেন। পরে যোগ্যতা ও সততা বুঝে সে অর্থের পরিমাণ ক্রমেই বাড়িয়ে দিতে থাকলেন। এরূপে আরবের অসংখ্য শিক্ষিত বেকার যুবক ব্যবসাক্ষেত্রে নেমে পড়লেন হরযত খাদিজার নিকট থেকে মূলধন নিয়ে। যারা এক মুষ্টি অন্নের জন্য চতুর্দিক অন্ধকার দেখছিল তাদের স্বচ্ছলতা নেমে এল অতি অল্পদিনের মধ্যেই। তাছাড়া তার নিজস্ব ব্যবসায় পরিচালনার জন্যও অসংখ্য শিক্ষিত ও বিশ্বাসী কর্মচারী নিযুক্ত হলো দেশ-বিদেশের সর্বত্র।
বেতনভোগী কর্মচারীদেরকেও তিনি শুধু নির্দিষ্ট বেতনই দিতেন না, প্রত্যেকের সততা ও কার্যদক্ষতা অনুযায়ী মাঝে মাঝে উপযুক্ত পুরস্কার দিতেন। কোন একটা জাতীয় অনুষ্ঠানের পূর্বে সকল কর্মচারীকেই কমবেশি এ পুরস্কার প্রদান করতেন তিনি। বছরে দু'তিনবার এ পুরস্কার দেয়া হত। এর ফলে কর্মচারীদের মধ্যে কর্মোদ্যম ও সততা বৃদ্ধি পেতো। তার এসব ব্যবস্থার ফলে কোন কর্মচারী তাকে একটি পয়সাও ফাঁকি দেওয়ার কথা চিন্তা করত না।
তিনি অসংখ্য দাস-দাসীকেও স্বীয় পুত্র-কন্যাবৎ প্রতিপালন করে তাদের দ্বারাও নিজের ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তিনি দাস দাসী ও কর্মচারীদের সকল প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি নিজগুনে ক্ষমা করে তাদের সাথে এমন ব্যবহার করতেন যে, তারা প্রত্যেকেই তাকে মাতৃবৎ মনে করে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে তার প্রতিটি আদেশ অক্ষরে অক্ষরে প্রতিপালন করত।
Comments