হযরত খাদিজা (রাঃ) এর জীবনী-৩য় পর্ব
হযরত খাদিজা (রাঃ) এর বিবাহঃ-
উম্মুল মু'মিনীন খাদিজা (রাঃ) রূপে-গুণে, চরিত্রে, বংশ মর্যাদায়, বিদ্যা বুদ্ধিতে ও ধন দৌলতে সর্বদিক দিয়েই ছিলেন তৎকালীন আরবের সেরা রমণী। বিপুল ধন-ভান্ডারের মালিক খুওয়াইলিদের একমাত্র স্নেহের দুলালী ছিলেন তিনি। এজন্য তিনি যুবতী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কুরাইশ বংশের বহু উচ্চ পরিবার হতে তার বিয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে। যখন যেখান হতেই বিয়ের প্রস্তাব আসছিল, খাদীজার পিতা খুওয়াইলিদ তার প্রত্যেকটির দোষ-গুণ সম্বন্ধে বিবেচনা করে দেখছিলেন। যেহেতু হযরত খাদিজা (রাঃ) ছিলেন তার একমাত্র আদরের দুলালী। অবশেষে তুলনামূলকভাবে আবু হালা ইবনে-জাহ্রাহ নামক জনৈক কুরাইশ বংশীয় যুবককেই তার কন্যার জন্য সর্বাপেক্ষা অধিক যোগ্য পাত্র বিবেচনা করে তার হাতেই খুওয়াইলিদ তার একমাত্র কন্যা খাদিজাকে সমর্পন করেন।
হযরত খাদিজা (রাঃ) আবু হালা কে স্বামী রুপে পেয়ে সত্যিই সুখী হয়েছিলেন। যেহেতু আবু হালা ছিলেন পরম সুন্দর, সুশিক্ষিত ও অত্যন্ত বিনয়ী।
আপু হালার ঔরসে হযরত খাদিজার একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তারা পুত্রের নাম রাখলেন হিন্দ। তিনি পরবর্তীকালে হযরত রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর একজন সাহাবী ও হাদিস বর্ণনাকারী রূপে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। হযরত খাদিজার অদৃষ্টে দাম্পত্য সুখভোগ অধিক দিন স্থায়ী হল না। ছেলেটির জন্মের কিছুকাল পরেই আবু হালা পরলোকগমন করলেন। শিশু পুত্র হিন্দকে নিয়ে হযরত খাতিজা (রাঃ) পিতৃগৃহে ফিরে এলেন।যৌবনের প্রারম্ভে এ নিদারুণ আঘাত হযরত খাদিজার কোমল হৃদয়কে নিতান্তই দুর্বল করে ফেলল।খুওয়াইলিদও অন্তরে বিশেষ আঘাত পেলেন, তার একমাত্র আদরের কন্যা খাদিজার-ভাগ্য বিপর্যয়ে।মেয়ের শোকতপ্ত মুখের দিকে তাকিয়ে তার অন্তর হাহাকার করে উঠল। একি তিনি আশা করেছিলেন ? রূপে-গুণে, বিদ্যায় বুদ্ধিতে আরবের সর্বশেষ্ঠ তার কন্যা। তার একমাত্র আদরের দুলালী স্নেহের পুত্তলিকে কত দেখেশুনে ভেবে চিন্তে বিয়ে দিলেন ভদ্র পরিবার ও ভালো বর দেখে, আর তারই পরিনিতি হল এমন শোচনীয়।
আবার তিনি বহু চেষ্টা করে, অনেক দেখেশুনে আতিক ইবনে আওয়াজ নামক জনৈক ধনি, সুশিক্ষিত, সুন্দর সচ্চরিত্র কুরাইশ যুবকের হাতে পরিণয় সূত্রে তুলে দিলেন হযরত খাদিজাকে।
জীবনের প্রথম আঘাত অনেকটা ভুলে গেলেন হযরত খাদিজা তার দ্বিতীয় স্বামী আতিকের গৃহে এসে। আতিকও গুণবতী হযরত খাদিজা কে জীবন সঙ্গিনী রূপে লাভ করে নিজের জীবনকে ধন্য মনে করলেন। আবার একটি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করল হযরত খাদিজার গর্ভে। হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিখ্যাত সাহাবী মোহাম্মদ ফখরুবী, হযরত খাদিজার এ কন্যাটির গর্ভেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আল্লাহর মহিমা বোঝার ক্ষমতা মানুষের নেই। তিনি কি উদ্দেশ্যে যে কি করেন তা শুধু তিনিই জানেন। তার লীলাখেলার অন্ত নেই, তাই তো লোকে তাকে বলে লীলাময়।
দ্বিতীয়বারেও হযরত খাদিজার কপাল হলো প্রথমবারের মতই। কন্যাটি জন্মগ্রহণ করার অল্পকাল পরেই আতিকও পরপারে চলে গেলেন। হযরত খাদিজাকে শোক সাগরে ভাসিয়ে। পূর্ণিমা চাঁদের মত রূপবতী হযরত খাদিজা দু চোখের পানি মুছতে মুছতে পুনরায় চলে এলেন পিতৃগৃহে।
প্রথমবারের আঘাত তিনি অনেকটা ভুলে গিয়েছিলেন দ্বিতীয় স্বামী আতিককে পেয়ে। কিন্তু এবারে সু-কোমল হৃদয় খানি একেবারেই ভেঙে পড়ল। প্রতিজ্ঞা করলেন তিনি জীবনে আর স্বামী গ্রহণ করবেন না। স্বামী সুখ তার অদৃষ্টে নেই।
উম্মুল মু'মিনীন খাদিজা (রাঃ) রূপে-গুণে, চরিত্রে, বংশ মর্যাদায়, বিদ্যা বুদ্ধিতে ও ধন দৌলতে সর্বদিক দিয়েই ছিলেন তৎকালীন আরবের সেরা রমণী। বিপুল ধন-ভান্ডারের মালিক খুওয়াইলিদের একমাত্র স্নেহের দুলালী ছিলেন তিনি। এজন্য তিনি যুবতী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কুরাইশ বংশের বহু উচ্চ পরিবার হতে তার বিয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে। যখন যেখান হতেই বিয়ের প্রস্তাব আসছিল, খাদীজার পিতা খুওয়াইলিদ তার প্রত্যেকটির দোষ-গুণ সম্বন্ধে বিবেচনা করে দেখছিলেন। যেহেতু হযরত খাদিজা (রাঃ) ছিলেন তার একমাত্র আদরের দুলালী। অবশেষে তুলনামূলকভাবে আবু হালা ইবনে-জাহ্রাহ নামক জনৈক কুরাইশ বংশীয় যুবককেই তার কন্যার জন্য সর্বাপেক্ষা অধিক যোগ্য পাত্র বিবেচনা করে তার হাতেই খুওয়াইলিদ তার একমাত্র কন্যা খাদিজাকে সমর্পন করেন।
হযরত খাদিজা (রাঃ) আবু হালা কে স্বামী রুপে পেয়ে সত্যিই সুখী হয়েছিলেন। যেহেতু আবু হালা ছিলেন পরম সুন্দর, সুশিক্ষিত ও অত্যন্ত বিনয়ী।
আপু হালার ঔরসে হযরত খাদিজার একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তারা পুত্রের নাম রাখলেন হিন্দ। তিনি পরবর্তীকালে হযরত রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর একজন সাহাবী ও হাদিস বর্ণনাকারী রূপে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। হযরত খাদিজার অদৃষ্টে দাম্পত্য সুখভোগ অধিক দিন স্থায়ী হল না। ছেলেটির জন্মের কিছুকাল পরেই আবু হালা পরলোকগমন করলেন। শিশু পুত্র হিন্দকে নিয়ে হযরত খাতিজা (রাঃ) পিতৃগৃহে ফিরে এলেন।যৌবনের প্রারম্ভে এ নিদারুণ আঘাত হযরত খাদিজার কোমল হৃদয়কে নিতান্তই দুর্বল করে ফেলল।খুওয়াইলিদও অন্তরে বিশেষ আঘাত পেলেন, তার একমাত্র আদরের কন্যা খাদিজার-ভাগ্য বিপর্যয়ে।মেয়ের শোকতপ্ত মুখের দিকে তাকিয়ে তার অন্তর হাহাকার করে উঠল। একি তিনি আশা করেছিলেন ? রূপে-গুণে, বিদ্যায় বুদ্ধিতে আরবের সর্বশেষ্ঠ তার কন্যা। তার একমাত্র আদরের দুলালী স্নেহের পুত্তলিকে কত দেখেশুনে ভেবে চিন্তে বিয়ে দিলেন ভদ্র পরিবার ও ভালো বর দেখে, আর তারই পরিনিতি হল এমন শোচনীয়।
আবার তিনি বহু চেষ্টা করে, অনেক দেখেশুনে আতিক ইবনে আওয়াজ নামক জনৈক ধনি, সুশিক্ষিত, সুন্দর সচ্চরিত্র কুরাইশ যুবকের হাতে পরিণয় সূত্রে তুলে দিলেন হযরত খাদিজাকে।
জীবনের প্রথম আঘাত অনেকটা ভুলে গেলেন হযরত খাদিজা তার দ্বিতীয় স্বামী আতিকের গৃহে এসে। আতিকও গুণবতী হযরত খাদিজা কে জীবন সঙ্গিনী রূপে লাভ করে নিজের জীবনকে ধন্য মনে করলেন। আবার একটি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করল হযরত খাদিজার গর্ভে। হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিখ্যাত সাহাবী মোহাম্মদ ফখরুবী, হযরত খাদিজার এ কন্যাটির গর্ভেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আল্লাহর মহিমা বোঝার ক্ষমতা মানুষের নেই। তিনি কি উদ্দেশ্যে যে কি করেন তা শুধু তিনিই জানেন। তার লীলাখেলার অন্ত নেই, তাই তো লোকে তাকে বলে লীলাময়।
দ্বিতীয়বারেও হযরত খাদিজার কপাল হলো প্রথমবারের মতই। কন্যাটি জন্মগ্রহণ করার অল্পকাল পরেই আতিকও পরপারে চলে গেলেন। হযরত খাদিজাকে শোক সাগরে ভাসিয়ে। পূর্ণিমা চাঁদের মত রূপবতী হযরত খাদিজা দু চোখের পানি মুছতে মুছতে পুনরায় চলে এলেন পিতৃগৃহে।
প্রথমবারের আঘাত তিনি অনেকটা ভুলে গিয়েছিলেন দ্বিতীয় স্বামী আতিককে পেয়ে। কিন্তু এবারে সু-কোমল হৃদয় খানি একেবারেই ভেঙে পড়ল। প্রতিজ্ঞা করলেন তিনি জীবনে আর স্বামী গ্রহণ করবেন না। স্বামী সুখ তার অদৃষ্টে নেই।
Comments