Posts

"জাহান্নাম" থেকে বাঁচার উপায়।

Image
জাহান্নাম থেকে বাঁচতে হলে, ঈমানের পাশাপাশি নেক আমলগুলো পরিপূর্ণভাবে পালন কর‍তে হবে। এবং পাপ থেকে দূরে থাকতে হবে, তাক্বওয়া অর্জন করতে হবে এ ছাড়াও জাহান্নাম থেকে বাঁচার অনেক উপায় হাদিসে বলা হয়েছে। হাদিসে বলা হয়েছে, "যে ব্যাক্তি সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবূদ বা (উপাস্য) নেই..তিনি এক,অদ্বিতীয় এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহ তা'য়ালার বান্দা ও প্রেরিত রাসূল".. এক ব্যক্তি বলল,হে আল্লাহর রসূল! আপনি আমাকে এমন আমল বলে দিন, যা আমাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে এবং জাহান্নাম থেকে দুরে রাখবে। নবী (ﷺ) বললেন, “তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে, তার সাথে কাউকে অংশীদার করবে না, নামায প্রতিষ্ঠা করবে, যাকাত দেবে এবং রক্ত সম্পর্ক বজায় রাখবে।” (বুখারী ও মুসলিম).. আল্লাহ সেই ব্যক্তিকে জাহান্নামের জন্য হারাম করে দেবেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের কামনায় 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলবে।” (বুখারী ও মুসলিম) “যে ব্যক্তি সুর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে (অর্থাৎ ফজরের ও আসরের নামায আদায় করবে, সে কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করবে না।” (মুসলিম)। "রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ...

"যাকাত" এর ফজিলত।

Image
হযরত আবু আইয়ূব (রা.) থেকে বর্ণিতঃ- জনৈক সাহাবি নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললেন, ‘আমাকে এমন একটি আমলের কথা বলুন যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।  রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  বললেন, তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে। তাঁর সঙ্গে অপর কোনো কিছুকে শরিক করবে না। সালাত আদায় করবে, যাকাত আদায় করবে, আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখবে। অন্যত্র রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদত করে, আল্লাহর সঙ্গে অন্য কিছুকে শরিক করে না, সালাত আদায় করে, যাকাত আদায় করে এবং কবিরা গুনাহ হতে নিজেকে রক্ষা করে, তার জন্য জান্নাত রয়েছে। অন্যত্র হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিতঃ- আমি রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলিহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় যে কোনো জিনিসের এক জোড়া বস্তুও দান করে, তাকে জান্নাতের দরজাসমূহ হতে আহবান করা হবে। হে আল্লাহর বান্দা, এ (দরজা) তোমার জন্য উত্তম। (বস্তুত) জান্নাতের অনেক দরজা আছে। যে সালাত আদায়কারী হবে তাকে সালাতের দরজা হতে আহবান করা হবে, যে ব্যক্তি জিহাদকারী হবে তাকে জিহাদের দরজা হতে আহবান করা হবে, যে ব...

জান্নাতী "হুর" কেমন হবে?

Image
মাটির মানুষ পৃথিবীতে মাটির জীবন সঙ্গীনি বানানোর জন্য কত পেরেশান,কত সাধনা,কত কলা কৌশল অবলম্বন করে.. যারা মাঝে মাঝে বিশ্বাসঘাতকিনী হয়..আর আল্লাহ তার নেক বান্দাদের জন্য জান্নাতের মধ্যে এরকম জীবন সঙ্গীনি বানিয়ে রেখেছেন যাদেরকে কোন চোখ দেখে নি,কোন মন কল্পনা করতে পারবে না কত সুন্দরী তারা,তারা বিশ্বাসঘাতকতা জানে না,ভালো বাসা বদলায় না সব সময়ে এক রকম থাকে,সব সময়ে অনুগত থাকে,যৌবনে কখনো ভাটা পড়ে না..তারা কেউ স্বর্নের,কেউ রুপা,কেউ লাল ইয়াকুত,কেউ জমরদের তৈরি ,কেউ মনি-মুক্তা দিয়ে তৈরি..আল্লাহই ভালো জানেন কত দামী দামী উপাদান দিয়ে তাদেরকে তিনি তৈরি করেছেন.. ' আয়না ' নামে জান্নাতের এক হুরের বর্ননা নিচে দেয়া হলো.. জান্নাতের একজন হুরের নাম আয়েনা , যার ডানদিকে ৭০,০০০ চাকর , বাম দিকে ৭০,০০০ চাকর , আর সামনে আছে ১,৪০,০০০.. সে বলছে - "ঐ ব্যক্তি কোথায় যিনি সৎ কাজের আদেশ দেয় আৱ অসৎ কাজ হতে বিরত থাকতে বলে ? ” আল্লাহ আমাকে তার জন্য তৈরি করেছেন। হজরত আব্দুল ওয়াহেদ ইবনে জায়েদ (রহঃ) একজন তাবে- তাবেঈন ছিলেন । তিনি বলেন যে , তিনি একবার আল্লার রাস্তায় জিহাদ করতে ছিলেন। এক কিশোর তার সাথে ছিল। বয়স তার...

সালাতুত "তাসবীহ" নামাযের ফজিলত..

Image
ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আব্বাস ইবনে আব্দিল মুত্তালিবকে বলেছেন, হে চাচা! আমি কি আপনাকে দেব না? আমি কি আপনাকে প্রদান করব না? আমি কি আপনার নিকটে আসব না? আমি কি আপনার জন্য দশটি সৎ গুনের বর্ণনা করব না যা করলে আল্লাহ তা'আলা আপনার আগের ও পিছনের, নতুন ও পুরাতন, ইচ্ছায় ও ভুলবশতকৃত, ছোট ও বড়, গোপন ও প্রকাশ্য সকল গুনাহ মাফ করে দেবেন? আর সে দশটি সৎ গুন হলোঃ আপনি চার রাকাত নামাজ পড়বেন। প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা পড়বেন। প্রথম রাকাতে যখন কেরাত পড়া শেষ করবেন তখন দাঁড়ানো অবস্থায় ১৫ বার পড়বেনঃ- سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ উচ্চারণঃ- সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদু লিল্লাহহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার। এরপর রুকুতে যাবেন এবং রুকু অবস্থায় উক্ত দুয়াটি ১০ বার পড়বেন। এরপর রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়াবেন ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদায় যাবেন। সিজদারত অবস্থায় ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদা থেকে সোজা হয়ে বসবেন অতঃপর ১০ বার পড়বেন। এরপর আবার সিজদায় যাবেন এবং...

শবে "কদরের" গুরুত্ব ও ফজিলত।

Image
পবিত্র রমজানে নাজাতের দশদিন গণনা শুরু হচ্ছে। আর সে সাথে লাইলাতুল কদর গণনাও শুরু হয়ে যায়। লাইলাতুল কদর‎‎ এর অর্থ অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত বা পবিত্র রজনী। আরবি ভাষায় ‘লাইলাতুল’ অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী এবং ‘কদর’ শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা, মহাসম্মান। এ ছাড়া এর অন্য অর্থ হচ্ছে; ভাগ্য, পরিমাণ ও তাকদির নির্ধারণ করা। ইসলাম ধর্ম অনুসারে, এ রাতে মহানবী (সা.) এর সম্মান বৃদ্ধি করা হয় এবং মানবজাতির ভাগ্য পুর্ননির্ধারন করা হয়। তাই প্রতিটি মুসলমানের কাছে এই রাত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও মহাসম্মানিত হিসেবে পরিগণিত। পবিত্র কোরাআন শরীফের বর্ণনা অনুসারে, আল্লাহ এই রাত্রিকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন এবং এই একটি মাত্র রজনীর উপাসনা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক সওয়াব অর্জিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর মাহে রমজানে এই মহিমান্বিত রজনী লাইলাতুল কদর মুসলিমদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনে। লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব আল্লাহ এ রাতকে সকল রাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এ রাতকে প্রশংসার সাথে উল্লেখ করেছেন আল্লহ নিজেই। তিনি তাঁর কালাম সম্পর্কে বলতে গ...

জান্নাতের "রাইয়্যান" দরজা দিয়ে প্রবেশ করবেন রোজাদাররা।

Image
রমজান একটি পবিত্র মাস আত্মশুদ্ধির মাস। রহমত, বরকত,নাজাত ও মাগফিরাতের মাস। মুমিনের জন্য একটি ইবাদতের মৌসুম। এ মাসে ইবাদতের সওয়াব বহুগুণে বাড়িয়ে দেওয়া হয়। একটি নেক আমলে সওয়াব দেওয়া হয় ৭০টি নেক আমলের। যেমন একটি নফলে একটি ফরজের সওয়াব, একটি ফরজে ৭০টি ফরজের সওয়াব আল্লাহ দান করেন। এ মাসের মার্যাদা ও মাহাত্ম্য বলার অপেক্ষা রাখে না। এ মাস আল্লাহর অধিক থেকে অধিকতর নৈকট্য লাভের শ্রেষ্ঠ সময়, পরকালীন পাথেয় অর্জনের উৎকৃষ্ট মৌসুম। প্রত্যেক মুমিনের উচিত পাপ কাজ থেকে বিরত থেকে এর যথাযথ কদর করা। কুরআন ও হাদিসে বিস্তৃত বর্ণনায় এর গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে। ইসলাম যে পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত তার একটি রমজান বা সিয়াম পালন করা। তবে রমজান মাসেও সব ফরজ ইবাদতের মধ্যে নামাজই সবচেয়ে অগ্রগণ্য। নামাজ ইমানকে মজবুত করে। নামাজের মাধ্যমেই আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়। রাসূল (সা.) বলেছেন, ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ বা মাবুদ নেই এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর বান্দা ও রাসুল, নামাজ কায়েম করা, জাকাত আদায় করা, হজ করা ও রমজান মাসে রোজা পালন করা। আল্লাহ তায়ালা...

"চাইতে হবে কেবল আল্লাহর কাছে"।

Image
একজন মুমিনের দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ লাভের অপরিহার্য শর্ত হচ্ছে আল্লাহর কাছে দোয়া করা। কারণ হাদিসে দোয়াকেই বলা হয়েছে ইবাদত। পবিত্র কোরআনের প্রথম সুরা, যাকে বলা হয়েছে উম্মুল কোরআন বা কোরআনের মূল বা সারমর্ম, সেই সুরা ফাতিহাতেই মহান আল্লাহ আমাদের শিখিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে আমরা তার কাছে হেদায়েত বা সঠিক পথ পাওয়ার জন্য দোয়া করব। শুধু তাই নয়, এই সুরা তথা দোয়াকে ইমানের পর সবচেয়ে বড় ইবাদত সালাতের মধ্যে জুড়ে দিয়েছেন, যা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে বহুবার আমরা বলে থাকি। এখান থেকেই আমরা দোয়ার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারি। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন স্থানে দোয়া করার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে। সুরা বাকারার ১৮৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, 'যখন আমার বান্দা তোমার কাছে আমার সম্বন্ধে জানতে চাইবে, তখন তুমি বলে দিও যে, আমি নিকটেই আছি; প্রার্থনাকারীর প্রার্থনায় সাড়া দিয়ে থাকি। সুতরাং তারাও যেন আমার আহ্বানে সাড়া প্রদান করে এবং আমার প্রতি ইমান আনে, তাহলে তারা সঠিক পথপ্রাপ্ত হবে।' সুরা গাফিরে বলা হয়েছে- 'আর তোমার রব বলছেন, তোমরা আমার কাছে দোয়া করো, আমি সাড়া দেব। নিশ্চয়ই যারা অহঙ্কার করে আমার ইবাদত থেকে বিরত থ...