Posts

Showing posts from May, 2020

সালাতুত "তাসবীহ" নামাযের ফজিলত..

Image
ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আব্বাস ইবনে আব্দিল মুত্তালিবকে বলেছেন, হে চাচা! আমি কি আপনাকে দেব না? আমি কি আপনাকে প্রদান করব না? আমি কি আপনার নিকটে আসব না? আমি কি আপনার জন্য দশটি সৎ গুনের বর্ণনা করব না যা করলে আল্লাহ তা'আলা আপনার আগের ও পিছনের, নতুন ও পুরাতন, ইচ্ছায় ও ভুলবশতকৃত, ছোট ও বড়, গোপন ও প্রকাশ্য সকল গুনাহ মাফ করে দেবেন? আর সে দশটি সৎ গুন হলোঃ আপনি চার রাকাত নামাজ পড়বেন। প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা পড়বেন। প্রথম রাকাতে যখন কেরাত পড়া শেষ করবেন তখন দাঁড়ানো অবস্থায় ১৫ বার পড়বেনঃ- سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ উচ্চারণঃ- সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদু লিল্লাহহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার। এরপর রুকুতে যাবেন এবং রুকু অবস্থায় উক্ত দুয়াটি ১০ বার পড়বেন। এরপর রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়াবেন ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদায় যাবেন। সিজদারত অবস্থায় ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদা থেকে সোজা হয়ে বসবেন অতঃপর ১০ বার পড়বেন। এরপর আবার সিজদায় যাবেন এবং...

শবে "কদরের" গুরুত্ব ও ফজিলত।

Image
পবিত্র রমজানে নাজাতের দশদিন গণনা শুরু হচ্ছে। আর সে সাথে লাইলাতুল কদর গণনাও শুরু হয়ে যায়। লাইলাতুল কদর‎‎ এর অর্থ অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত বা পবিত্র রজনী। আরবি ভাষায় ‘লাইলাতুল’ অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী এবং ‘কদর’ শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা, মহাসম্মান। এ ছাড়া এর অন্য অর্থ হচ্ছে; ভাগ্য, পরিমাণ ও তাকদির নির্ধারণ করা। ইসলাম ধর্ম অনুসারে, এ রাতে মহানবী (সা.) এর সম্মান বৃদ্ধি করা হয় এবং মানবজাতির ভাগ্য পুর্ননির্ধারন করা হয়। তাই প্রতিটি মুসলমানের কাছে এই রাত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও মহাসম্মানিত হিসেবে পরিগণিত। পবিত্র কোরাআন শরীফের বর্ণনা অনুসারে, আল্লাহ এই রাত্রিকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন এবং এই একটি মাত্র রজনীর উপাসনা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক সওয়াব অর্জিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর মাহে রমজানে এই মহিমান্বিত রজনী লাইলাতুল কদর মুসলিমদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনে। লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব আল্লাহ এ রাতকে সকল রাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এ রাতকে প্রশংসার সাথে উল্লেখ করেছেন আল্লহ নিজেই। তিনি তাঁর কালাম সম্পর্কে বলতে গ...

জান্নাতের "রাইয়্যান" দরজা দিয়ে প্রবেশ করবেন রোজাদাররা।

Image
রমজান একটি পবিত্র মাস আত্মশুদ্ধির মাস। রহমত, বরকত,নাজাত ও মাগফিরাতের মাস। মুমিনের জন্য একটি ইবাদতের মৌসুম। এ মাসে ইবাদতের সওয়াব বহুগুণে বাড়িয়ে দেওয়া হয়। একটি নেক আমলে সওয়াব দেওয়া হয় ৭০টি নেক আমলের। যেমন একটি নফলে একটি ফরজের সওয়াব, একটি ফরজে ৭০টি ফরজের সওয়াব আল্লাহ দান করেন। এ মাসের মার্যাদা ও মাহাত্ম্য বলার অপেক্ষা রাখে না। এ মাস আল্লাহর অধিক থেকে অধিকতর নৈকট্য লাভের শ্রেষ্ঠ সময়, পরকালীন পাথেয় অর্জনের উৎকৃষ্ট মৌসুম। প্রত্যেক মুমিনের উচিত পাপ কাজ থেকে বিরত থেকে এর যথাযথ কদর করা। কুরআন ও হাদিসে বিস্তৃত বর্ণনায় এর গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে। ইসলাম যে পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত তার একটি রমজান বা সিয়াম পালন করা। তবে রমজান মাসেও সব ফরজ ইবাদতের মধ্যে নামাজই সবচেয়ে অগ্রগণ্য। নামাজ ইমানকে মজবুত করে। নামাজের মাধ্যমেই আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়। রাসূল (সা.) বলেছেন, ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ বা মাবুদ নেই এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর বান্দা ও রাসুল, নামাজ কায়েম করা, জাকাত আদায় করা, হজ করা ও রমজান মাসে রোজা পালন করা। আল্লাহ তায়ালা...